Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
“স্কুল মিল্ক ফিডিং” কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন
বিস্তারিত

প্রেসনোটঃ


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখহাসিনা এমপি'র নির্দেশনায়-স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠণের উদ্দেশ্যে দেশের ৩০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সারাবছর বিনামূল্যে দুধপান করানোর পাইলট কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সরকার। প্রথম পর্যায়ের ৫০ টি স্কুলে কেন্দ্রীয় ভাবে গত ২৬ ফ্রেবুয়ারী রাজধানীর তেজাগাঁওয়ে অবস্থিত ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুধপান করিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জনাব শ ম রেজাউল করিম এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। অবশিষ্ট ২৫০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে আজ ১৫ জুলাই, ২০২৩ খ্রি. তারিখে জনাব ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক , এম পি, মাননীয় মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয়, তার নির্বাচনী এলাকা ধনবাড়ীতে ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই “স্কুল মিল্ক ফিডিং” কর্মসূচির শুভউদ্বোধন করেন।


প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলার ৩০০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পাইলট কর্মসূচি চলমান থাকবে জুন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)” এর অধীনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপদ ও পুষ্টিকর দুগ্ধজাত পণ্য প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক/১ম থেকে ৫ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে প্রতিদিন ২০০ মিলি দুধ খাওয়ানো হবে। মূলত: একদিকে পুষ্টিচাহিদা মেটাতে এবং অপরদিকে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। পাইলট কার্যক্রম সফল হলে দেশের সবপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হবে।


দুধ একটি আদর্শ খাবার। এর মধ্যে আছে শরীরের জন্য খুবই দরকারী শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ ও পানি। শিশুর মেধাবিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ল্যাকটোজ একমাত্র দুধেই পাওয়া যায়। শরীরের বৃদ্ধি ঘটানো, শক্তি যোগানো ও মেধাবিকাশে দুধ্যের সমতুল্য আর কোন খাবার গোটা পৃথিবীতে নেই।


দুধ সরবরাহের দায়িত্ব পালনকরবে ইউএইচটি মিল্ক উৎপাদনকারী দেশের চারটি প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যসম্মত প্যাকেটে আধুনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত এ দুধ শতভাগ নিরাপদ এবং দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াকৃত। প্রক্রিয়াজাত কোম্পানীর ল্যাবে দুধের মান ও নিরাপদতা পরীক্ষার পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবেও নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে। কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত স্কুলের যারা দুধপান করবে এবং অন্যান্য স্কুলের যেসব শিক্ষার্থী দুধপান করবেনা তাদের মধ্যে পার্থক্য পর্যালোচনা করা হবে। দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উচ্চতা, ওজন ও আইকিউ পর্যবেক্ষণ করা হবে। কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আলাদা আলাদা কমিটি কাজ করবে।


কার্মসূচির আওতায় স্কুল নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মূলত: দুর্গম ও দারিদ্র পিড়ীত এলাকাকে চিহ্নিত করে এ নির্বাচনটি চালানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এক দিকে যেমন শিশুদের দুধ পানের আগ্রহ তৈরি হবে, স্বাস্থ্য ভাল হবে ও মেধার বিকাশ ত্বরান্বিত হবে, অপরদিকে তেমনি দেশের দুগ্ধ খামারিরা ন্যায্য মূল্য পাবে, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে অধিকতর আগ্রহী হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে।


কর্মসূচিটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একটি সমন্বিত গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় স্কুল মিল্ক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটি। উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও-এর তত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও দুধ সরবরাহকারীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটি। উভয় কমিটিই নিয়মিত দুধপান কর্মসূচি তদারকি করবে। এলডিডিপি থেকে নিয়োজিত প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট ও প্রাণিসম্পদ সার্ভিস প্রোভাইডারবৃন্দ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা করবেন।


শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে এবং দুধপানের রেজিস্ট্রার নিয়মিত হালনাগাদ ও সংরক্ষণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও অভিভাবকদের জন্য এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে আলাদা আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে। স্কুল খোলা থাকার দিন গুলোতে (বছরে গড়ে ১৬০ দিন) টিফিন পিরিয়ডে এ দুধের প্যাকেট গুলো পান করার জন্য প্রদান করা হবে। কোন প্যাকেট বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবেনা বা অন্যকে দেয়া যাবেনা। দুধ গ্রহণে শারিরীক সমস্যা পরিলক্ষিত হলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। ক্লাসরুমে শ্রেণী শিক্ষকের সামনে দুধ খেয়ে খালি প্যাকেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নিকট ফেরত দিতে হবে এবং তারা পরিবেশ সম্মতভাবে খালী প্যাকেট বিনষ্ট করবে।


“স্কুল মিল্ক ফিডিং” কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন শেষে মাননীয় মন্ত্রী এলডিডিপি প্রকল্পের ৫৯ জন সদস্যদের মাঝে “মুরগীর ক্লাইমেট স্মার্ট শেড” নির্মান বাবদ জনপ্রতি বিশ হাজার টাকার চেক, মোট এগারো লক্ষ আশি হাজার টাকার চেক বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন।


ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
15/07/2023
আর্কাইভ তারিখ
29/07/2027